উল্লেখ্য সুনামগঞ্জের আ.লীগের স্থানীয় সাংসদবৃন্দ দলীয় সমর্থিত প্রার্থীকে জেতাতে সবধরনের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নূরুল হুদা মুকুট সাংবাদিক সম্মেলন করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মহিবুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। তাছাড়া দিরাই-শাল্লার সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধেও গত রবিবার তিনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
গত ৫ নভেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে নূরুল হুদা মুকুটুকে সমর্থন দিয়ে জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেন। পরবর্তীতে নূরুল হুদা মুকুট দলীয় সমর্থন পেতে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড বরাবরে বায়োডাটা পাঠান। কিন্তু তাকে সমর্থন না দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
বিজয়ের প্রতিক্রিয়ায় নূরুল হুদা মুকুট বলেন, এই জয় জনতার ও জনপ্রতিনিধিদের। কারণ তারা স্থানীয় সাংসদদের হুমকি-ধমকি ও চোখরাঙানিকে ভয় না পেয়ে, প্রলোভনের কাছে মাথা নত না করে সঠিক রায় দিয়েছেন। জেলা পরিষদকে জনতা ও জনবাবন্ধব প্রতিষ্টানে পরিণত করা হবে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করেই সমূহ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।